ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মাতারবাড়ীতে মসজিদের কমিটি গঠন নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-২

সালাম কাকলী, মহেশখালী :

মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে প্রতি পক্ষের হামলায় ২জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হচ্ছে, হাফেজ ওমর ফারুক (২৮) ও আমিনুল ইসলাম (৫০) এ ঘটনাটি ঘটেছে  গতকাল ২এপ্রিল সোমবার সকাল ৭টায় সাইরার ডেইল শান্তি বাজারে।

মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সাইরার গ্রামের আলহাজ্ব শরাফত উল্লাহ এক খন্ড জমি দান করেন ওই এলাকায় একটি মসজিদ ও হাফেজখানা স্থাপনের লক্ষ্যে। তিনি জীবিতাবস্থায় মধ্যম সাইরার ডেইল দারুল কোরআন গাউছিয়া সুন্নিয়া হাফেজখানা ও ফোরকানীয়া মাদ্রাসা এবং মসজিদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। উক্ত দাতার মরণের পর তার পুত্র মাস্টার সৈয়দ আহমদ ও একই ভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।

কিন্তু মাস্টার সৈয়দের মৃত্যুর পর ঐ দায়িত্বে অদিষ্টিত হন তার পুত্র ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম। মসজিদ ও হাফেজ খানার বাষিক ওয়াজ মাহফিল ১ এপ্রিল হাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওয়াজ মাহফিলের আগে মসজিদ ও হাফেজখানা পরিচালনার জন্য সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করার উদ্দ্যেশে নজরুল ইসলামের বড় ভাই ডাক্তার দিদারুল ইসলাম সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপস্থিত মুসল্লীরা একমত হলেও হানিফ বাপের গোষ্টির মফজল আহমদের পুত্র সোলতান তাতে এক মত না হয়ে মসজিদ থেকে চলে যান।

পর দিন নজরুল ইসলামের ভাই হাফেজ ওমর ফারুক কে শান্তি বাজারের একা পেয়ে ২ এপ্রিল সোমবার সকাল ৭টায় সোলতান তার দলবল নিয়ে এলোপাতারি মারধর করতে থাকে বাজারের উপস্থিত লোক জন কোন কিছু বুঝে ওঠার পূর্বে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ সোলতান গংরা ফারুক কে জখম করে তার পকেটের টাকা ৬০ হাজার টাকা ও একটি চেক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বাজারের ব্যবসায়ীরা রক্তাক্ত অবস্থায় হাফেজ ফারুক কে উদ্ধার করে বাড়ীতে নেয়ার সময় আরো একদফা হামলা চলিয়ে হাফেজ ওমর ফারুকের চাচা আমিনুল ইসলামকে মারধর করে রক্তাত্ব করে ফেলে।

আত্মীয় স্বজনরা আহত ২জনকে প্রথমে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পরপরই মামলা না করার জন্য পুণরায় প্রতিপক্ষ সোলতান গংরা আহত হাফেজ ওমর ফারুকের বাড়ী গেরাও করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভীতি কর পরিবেশ সৃষ্টি করে। এ ঘটনা দেখে এলাকা বাসীরা এগিয়ে এসে প্রতিপক্ষ সোলতান গংকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয়। এ ঘটনা কেন্দ্র করে এলাকায় দু পক্ষের মধ্যে চলছে চরম উত্তেজনা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ।

 

পাঠকের মতামত: